হার্ট এর রোগ
হার্ট এর রোগ আছে অগণিত।কিন্তু সাধারণ আলোচনাতে সব চাইতে গুরুত্ব পায় ইশকিমিক হার্ট ডিজিজ বা আই এইচ ডি(IHD)।আমাদের শরীরের রক্তনালী যা ধমনী ও শিরা নামে পরিচিত। এই ধমনীর কাজ হল শরীরের সর্বত্র অক্সিজেন,খাবার ইত্যাদি সরবরাহ করা।ফলে এ ব্যবস্থাপনায় ব্যত্যয় ঘটলেই অসুখ হয়।হার্ট এর নিজস্ব ধমনী যখন চর্বি,ক্যালসিয়াম ইত্যাদি জমে বন্ধ হয়ে যায় তখন হার্ট এর যে সমস্যা হয় সেটাই IHD।এর চুড়ান্ত একটি রূপ হল হার্ট এটাক, যেটাকে ডাক্তারী ভাষায় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction) বলা হয়।
হার্ট যদিও বুক এর বাম পাশে অবস্থান করে ,ইশকিমিক হার্ট ডিজিজ এর রোগীদের হার্ট এর ব্যাথা সাধরণত বুক এর মাঝ খানে অথবা পুরো বুক জুড়ে হয় হয়।সেই ব্যাথা কারো কারো বাম হাত,গলা,চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে।প্রাথমিক ভাবে কাজ কর্ম করলে ব্যাথা বাড়ে।রোগ গভীরতর হলে বিশ্রাম্রত অবস্থায় বা অল্প পরিশ্রমে ব্যথা বাড়ে।সাধারণত প্রাথমিক ভাবে ইসিজি করে রোগ ধরা হয়।যদিও ইসিজি সবক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে রোগ ধরতে পারে না।সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অন্য পরীক্ষার সহায়তা নেন।
এই রোগ কাদের বেশী হয়? যাদের পারিবারিক ইতিহাস আছে হার্ট রোগ এর,ধূমপায়ী,ডায়াবেটিক,উচ্চ রক্ত চাপ এর রোগী,রক্তে চর্বি বাড়ার সমস্যা,অধিক শারীরিক ওজন ইত্যাদি।
এ রোগের একটি অংশ জীবন যাপন প্রণালী পরিবর্তন,খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন,নির্দেশ অনুযায়ী ব্যায়াম ও চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ এর মাধ্যমে ভাল থাকেন।কারো কারো হার্ট এর এনজিওগ্রাম এর প্রয়োজন হয়।এর মাধ্যমে হার্ট এর কোন রক্তনালী তে কী পরিমাণ ব্লক বা বাধা আছে তা নির্ণয় করা হয়।ব্লক এর মাত্রা অনুযায়ী স্টেন্ট(Stent) অথবা বাইপাস সার্জারী (CABG-Coronary Artery Bypass Grafting) এর করা হয়ে থাকে।এতো কিছু করা হয় একটি উদ্দেশ্যে , হার্ট এটাক প্রতিরোধ করা।
Image Courtesy : The Blood Pressure Champion