ডায়াবেটিসের প্রকোপের কারণে আমাদের দেশে কিডনী রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।এ ছাড়াও কিডনী এর নিজস্ব আর ও রোগ তো আছে ই।সময় মত রোগ ধরা না পড়লে ও সময়মত কিডনী বিশেষজ্ঞের কাছে না গেলে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।
তাই আমাদের রুগীদের কে ই এখন সচেতন হতে হবে যে কোন তিনটি পরীক্ষা করালে প্রাথমিক ভাবে বুঝা যাবে কিডনী রোগ আছে কী না।
আমাদের উপজেলা হাসপাতালে ও এখন ভাল ল্যাব ও টেকনলজিস্ট আছেন বা প্রাইভেট ভাবেও খুব সহজে এবং সস্তায় পরীক্ষা গুলো করা যাবে।
সেরাম ক্রিয়াটিনিন রক্তের খুব সাধারণ পরীক্ষা। গড়পরতা প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের বেলায় স্বাভাবিক মাত্রা ১.৩ ও মহিলাদের বেলায় ১.২ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার।সেখান থেকে খুব্ সহজে স্থানীয় এম বি বি এস ডাক্তার eGFR বের করে কিডনীর অবস্থা বলে দিতে পারেন।এটি সকল ডায়াবেটিস , উচ্চ রক্ত চাপ এর রুগীদের ৬ মাস পর পর করা উচিত।
মুত্রের রুটিন পরীক্ষা বা Urine RE সকাল বেলার প্রথম প্রস্রাব দিতে পারলে ভাল।সস্তা ,সহজ লভ্য,নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা।প্রস্রাবে আমিষ বা প্রোটিন বেশী থাকলে বা রক্ত কণিকা নির্গত হলে এর মাধ্যমে ধরা যায়। প্রস্রাবে পুজ কণিকা বেশী হলে ইনফেকশন নির্দেশ করে।অস্বাভাবিক রিপোর্ট হলে কিডনী বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সমধান মিলতে পারে।
প্রস্রাবের প্রোটিন বা Urine for ACR পরীক্ষা সাধারনত রক্তের মাঝে ভাসমান প্রোটিন বা আমিষ লিভারে তৈরী হয়ে রক্তেই ভাসমান থাকে।তা কিডনী পর্যন্ত পৌঁছয় ঠিক কিন্তু প্রস্রাবে নির্গত হয় না।কিন্তু যখনই কিডনী এর অসুখ হয় তখন কিডনী এর এই ক্ষমতা হ্রাস পায় ও প্রস্রাবের সাথে আমিষ বা প্রোটিন নির্গত হয় এবং Urine for ACR পরীক্ষা করে আমরা রোগ ধরতে পারি।
আমার অভিজ্ঞতা বলছে আমাদের কিডনী রোগের রুগীরা খুব দেরি করে কিডনী বিশেষজ্ঞের কাছে যান।ফলে তখন ডাক্তারের কিছু করার থাকে না।আগে থেকে ই পরীক্ষা করে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনী রোগ ধরা গেলে, অনেক রুগীর ই ডায়ালাইসিস বা কিডনী ট্রান্সপ্লাট এর প্রয়োজন হবে না।